আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ন স্বাস্থ্য টিপস সেয়ার করব। আজকের বিষয় টি হল কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি?

benefits-of-mangos-eating

ছোট বড় সবাই কম বেশী আম পছন্দ করে সেটা হোক পাঁকা বা  কাঁচা আম। বিষেশ করে মেয়েরা কাঁচা আম বেশি পছন্দ করে। কম বেশি ছেলেরা ও করে। আমাদের আসে পাশে এমন কোন লোক নেই যে আম পছন্দ করে না। কাঁচা আম আমরা লবন দিয়ে খাই আবার সুন্দর করে মাখিয়ে খাই এমন কি আচার করেও খাই।

যাইহোক আমের মধ্যে ভিটামিন সহ প্রচুর পরিমান পুষ্টিগুন রয়েছে। কাঁচা আমে স্পেশালী ভিটামিন সি রয়েছে। তাই এই আম খাওয়া আমাদের শরীরের পক্ষে খুব উপকারি। তো চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কাঁচা আম শরীরের জন্য কতটা উপকারি।

1️⃣▶ ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে

পাঁকা আমের তুলনায় কাঁচা আম অনেক বেশি উপকারি। কারন এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে এমনকি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমানও অনেক বেশি থাকে।  এই কারনেই কাঁচা আম  ক্যান্সার এর প্রতিরোধক হিসেবে বেশ ভূমিকা পালন করে।

2️⃣▶ যকৃত ভালো রাখতে

কাঁচা আম যকৃত এর জন্য অনেক উপকারি। কাঁচা আমে বেশি পরিমানে আয়রন রয়েছে। যার কারনে  যকৃত ও স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

3️⃣▶  ত্বকের উপকার করে

কাঁচা আমে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি থাকে। আমাদের শরীরে যদি সঠিক পরিমানে ভিটামিন সি না পায় তা হলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। কারন ভিটিমিন সি স্কিন, দাঁত ও মাড়ির জন্য অনেক উপকারি। এমন কি কাঁচা আম ঘামাচি রোধ করে। 

4️⃣▶ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

কাঁচা আম হচ্ছে ফাইবার সমৃদ্ধ। যার কারনে কাঁচা আম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ভিষন ভাবে সাহায্য করে। যাদের এই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা আছে তারা কাঁচা আম খেয়ে ভাল ফল পেতে পারেন। 

5️⃣▶ এসিডিটির বিরুদ্ধে  কাজ করে

অনেক মানুষ এসিডিটির সমস্যা ভুগছে।  যাদের এই রকম সমস্যা আছে তারা যদি কাঁচা আম খায় তাহলে অনেক বেশি উপকার পাবেন। 

6️⃣▶ পানির ঘাটতি পূরন করে

গরমে আমাদের দেহে প্রচুর পরিমাণে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। তো আপনার শরীরের পানির ঘাটতি পূরন করার জন্য যদি প্রতিদিন একটু কাঁচা আম খান তাহলে অনেক আংশে পানির ঘাটতি পূরন করবে।

7️⃣▶ পেটের সমস্যা দূর করে

কাঁচা আম খেলে পেটের যেকোন সমস্যা দূর হয়। গরমের সময় পেটে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয় যেমন ডায়েরিয়া আমাশা বদহজম ইত্যাদি। তো এ সব সমস্যা সমাধান আপনি কাঁচা আমের মধ্যে পেয়ে যাবেন। তাই ঔষধ না খেয়ে আমের সময় কাঁচা আম খান।

8️⃣▶ ওজন কমাতে সাহায্য করে

আমরা সবাই কম বেশি ওজন কমাতে চাই। কাঁচা আমে সুগারের পরিমান কম থাকার কারনে ওজন কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা আম চর্বি দুর করতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে।

9️⃣▶ মাড়ির রক্ত পড়ার প্রতিরোধ করে

কাঁচা আমে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে যার ফলে মাড়ির রক্ত পরা বন্ধ হয় এমন কি জিব বা ঠোঁটের মধ্যে ঘা ও দাঁতের যন্ত্রনায় বিষন উপকার করে। তাই আমাদের প্রতিদিন কাঁচা আম খাওয়া উচিৎ।

🔟▶ লিভারের যাবতীয় সমস্য দুর করে

যাদের লিভারের সমস্য আছে তারা যদি কাঁচা আম খান তাহলে একটি ভলো কার্যকরী ফল পাবেন। কাঁচা আম লিভার ভাল রাখেতে সাহায্য করে।

1️⃣1️⃣▶ এনার্জি প্রদান করে

কাঁচা আম শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে। কারন কাঁচা আম প্রচুর পরিমানে এনার্জি প্রদান করে। যাদের শরীরে এনার্জির মাত্রা অনেক কম তারা বেশি পরিমান কাঁচা বা পাঁকা আম খাবেন।

1️⃣2️⃣▶ ঘাম কমাতে সাহায্য করে

আপনার যদি ঘাম বেশি হয় তবে কাচা আম খেতে পারেন। কারন কাঁচা আমের জুস শরীরকে সতেজ করে এবং ঘাম কমাতে সাহায্য করে। যাদের শরীর অতিরিক্ত মাত্রায় ঘামে তরা যদি কাঁচ আমের জুস খান তাহলে অনেক অংশে ঘাম কমে যাবে সাথে গরমে শরীরে দুর্গন্ধ কম হবে।

1️⃣3️⃣▶ স্ট্রকের সমস্যা কমায়

কাঁচা আম স্ট্রকের সমস্যা দূর করে। কাঁচা আম, চিনি, লবন, জিরা গুড়া বেলেন্ডাররে দিয় জুস বানিয়ে খেলে স্ট্রকের ঝুঁকি কমবে এবং প্রেসার বাড়লেও এটি খেতে পারেন অনেক উপকার পাবেন। কারন টক জাতীয় খাবার প্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে।

তো বন্ধুরা আশা করি উপরের টিপস গুলো আপনাদের অনেক কাজে দেবে। সর্বপরি উপকারিতা সমুহ মনে না রাখলেও কোন সমস্যা নেই আপনি যাস্ট আম খেতে থাকুন আমের সিজনে। তো আজকে এখানেই শেষ করছি। আর এই লেখাটি আপনাদের কেমন  লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

ধন্যবাদ!!!

Post a Comment

Previous Post Next Post