হ্যালো আমার প্রিয় পাঠক বৃন্দ আরও একটা নতুন টপিকে আপনাদের সবাইকে জানাই স্বাগতম। আমার অনেক পাঠক রয়েছেন যারা ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে করতে টায়ার্ড হয়ে গেছেন। শুধুমাত্র তাদের বোরিংনেস দুর করার জন্য আজকে আলোচনা করবো Unique কিছু ওয়েবসাইট নিয়ে যেগুলো প্রকৃতপক্ষে সবার কাজে সচারাচর লাগবে না কিন্তু বিনোদন দিবে এবং সাথে বোরিংনেস কাটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে। আবার কিছু সাইট রয়েছে যেগুলো আপনার দৈনন্দিন কাজে লেগেও যেতে পারে। তো আর ভুমিকা না করে সরাসরি সেই Unique ওয়েবসাইট গুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
নোটঃ- তো প্রথমেই একটা কথা বলে নেই যদি পোষ্টটি আপনার মনের মতো না হয় তবে স্কিপ করে যেতে পারেন। কিন্তু অযথা বাজে কমেন্ট করার দরকার নেই।
No 10) Asoftmurmur
আপনার কাছে আমার প্রশ্ন আপনার আগুন, বাতাস, বৃষ্টি, বজ্রপাত, সমুদ্রের ঢেউ, পাখির কিচিরমিচির শব্দ বা, কফি শপের হাল্কা কোলাহলের শব্দ শুনতে কতটা ভালো লাগে?
আমরা যারা শহরে বসবাস করি তাদের যান্ত্রিক শব্দে এবং চার দেয়ালের বন্ধি জীবনে হয়তো অনেক সময় খুব বিরক্ত হয়ে যাই। মাঝে মধ্যে মনে হয় যে যদি একটু গ্রামে যেতে পারতাম তবে প্রান টা জুড়িয়ে যেতো। কারন আমরা পাখির কোলাহল বৃষ্টি পড়ার শব্দ সব তো ভুলতেই চলেছি চার দেয়ালের মধ্যে থাকতে থাকতে।
তো যাইহোক, এই ওয়েবসাইট টি আপনাদের সব প্রকৃতির সুখ পেতে সাহায্য করবে। আপনার যদি গান শুনতে বা, এই ধরনের কোন কিছু দেখতে ইচ্ছে না করে যদি প্রকৃতির প্রেমে মুগ্ধ হতে চান তবে এই সাইট টি আপনার সব ইচ্ছা পুরন করবে। এই সাইটি ফোন দিয়েও খুব সহজে ব্যবহার করতে পারবেন। এটিতে খুব বেশি ডেটা খরচ হবে না। যারা মেডিটেশন করেন বা, যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্যও খুবই উপকারী হবে। শুধুমাত্র কানে ইয়ারফোন গুজে দিয়ে যে কোন সুখের শব্দ শুনতে পারেন।
সত্যি বলতে কি আমি যখন কোন ইম্পর্ট্যান্ট কাজ করি তখন এই সাইট থেকে বৃষ্টি পড়ার শব্দ বা, পাখির ডাকাডাকি চালিয়ে দেই যাতে বাইরের কোন সব্দ আমার মনোযোগ নষ্ট করতে না পারে।
No 9) Scratch.mit.edu
কোডিং শেখা বর্তমান সময় কতটা জরুরি সেটা হয়তো আপনি যানেন। আর যদি না জেনে থাকেন তবে বলি আপনার হাতে যে স্মার্টফোন বা, যে ডিভাইস রয়েছে তার মেইন ভিত্তি এই প্রোগ্রামিং। কোডিং ব্যতিতো কোন সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই আপনি হয় তো বুঝতে পারছেন ভবিষ্যতে আমাদের দুনিয়া কতটা আপডেট হতে চলেছে আর তাই এই কোডিং এর ভুমিকা কতটা জরুরি। একটু লক্ষ করলে দেখবেন বর্তমানে স্কুলের পাঠ্য বইতেও এই কোডিং যুক্ত করে দিয়েছে। তো আমাদের সরকার বুঝতে পারছে ভবিষ্যতে বাচ্চদের কোডিং শেখা কতটা জরুরি আর আপনি কেনো বুঝবেন না।
যাইহোক, এই ওয়েবসাইট টি শুধুমাত্র বাচ্চাদের জন্য অর্থাৎ এখানে ৮-১৬ বছরের বাচ্চারা কোডিং শিখে বিভিন্ন কিছু তৈরি করতে পারবে। এমন কি শেয়ার করার অপশনও রয়েছে। এই সাইটটি এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে বাচ্চারা তাদের সৃজনশীলতা ব্যবহার করতে পারবে এবং বৃদ্ধি করতে পারবে। এতো সহজ ভাবে দেখানো রয়েছে যে বাচ্চারা সহজভাবে খেলার ছলে কোডিং শিখে নিতে পারবে।
No 8) Touchpianist
এই সাইট টা এতোটা মজার যে আপনি প্রবেশ না করলে বুঝতে পারবেন না। যদি আপনার কখনো কোনদিন পিয়ানো বাজানোর ইচ্ছে হয়ে থাকে কিন্তু পিয়নো হাতের কাছে পান নি তো সেই শখ টাও এই সাইটের মাধ্যমে পুরন করতে পারবেন।
প্রথমত, যখন এই সাইটে প্রবেশ করবেন তখন দেখতে পারবেন বিভিন্ন রং-এর ডট তো এই ডট গুলোতে ক্লিক দিলে অটোমেটিক পিয়ানো বাটনে ক্লিক পড়ার মতো হবে। যত ক্লিক দিবেন ততো পিয়ানো বাজবে কিন্তু সেটা গানের লিরিক্স হয়ে বাজবে মানে ডট গুলো এমর ভাবে সেটাপ করা আপনি ক্লিক করলেই লিরিক্স এর মতো বাজতে থাকবে কোন এলোমেলো হবে না। তো অনুরধ একবার হলেও টেষ্ট করে দেখা উচিৎ।
No 7) Riddles
What is Riddles?
Riddles অর্থাৎ ধাধা। এই ওয়েবসাইট টি এমন একটি সাইট যেখানে ধাধা-র সমাধান বের করা হয়। অনেকে আছি যারা তাদের ব্রেইনকে কাজে লাগাতে চাই কিন্তু কাজে লাগানোর স্থান খুজে পান না তারা এই সাইটে গিয়ে বিভিন্ন লোকের শেয়ার করা ধাধার উত্তর খুজে দিতে পারেন। এমন কি আপনি ও ধাধা শেয়ার করে উত্তর পেতে পারেন। এই সাইটে প্রবেশ করলে সত্যিই ইমাজিন লাগবে কারন অনেক অনেক ধাধা শেয়ার করা রয়েছে এবং তার উত্তর ও লোকে দিছে। আপনিও চইলে বন্ধুদের ধাধা ধরতে পারেন এই সাইট থেকে শিখে।
তো যারা সর্বক্ষণ সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে করতে মস্তিষ্ক অলস করে ফেলছেন তারা তাদের অলস মস্তিষ্ক সতেজ রাখার জন্য মাথা খাটিয়ে লোকের ধাধার উত্তর খুজতে পারেন। দেখবেন নিজের মধ্যে প্রশান্তি আসবে। একটা প্রবাদ সবাই জানে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। তাই শয়তানের কারখানা না করে বুদ্ধির কারখানা গড়ুন।
No 6) Windows93
বর্তমানে যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি তারা অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে Windows 7,8.1,10 এবং 11 ব্যবহার করি। যারা ভাবছেন Windows 11 কোথায় এসেছে তাদের বলি ভালো করে নেটে সার্চ মেরে দেখবেন 11 ও চলে আসছে। কিন্তু হয়তো এই Windows গুলো একবার হলেও ব্যবহার করে দেখেছেন কিন্তু Windows 93 কি কখনো ব্যবহার করেছেন। আর করবেন ইবা কিভাবে এটি তো ইনস্টলই হবে না বর্তমান কম্পিউটারে। তো আজথেকে ২০/২২ বছর আগে উইন্ডোজ কেমন ছিলো এটা হয়তো অনেকের জানতে ইচ্ছে হয়। তো যদি সেই সময়ের উইন্ডোজ প্রকৃতপক্ষে কেমন ছিলো বা, কিভাবে কাজ করতো সেটার অনুভূতি নেওয়ার ইচ্ছে থাকে তাহলে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারেন। একদম হুবহু Windows 93 এর ইন্টারফেস পেয়ে যাবেন। আমি ১০০℅ শিওর আপনি মজা পাবেন।
No 5) Drawastickman
এটা একটি ইমাজিন ওয়েবসাইট। এটির মধ্যে প্রবেশ করে আপনি যেমন খুশি তেমন আঁকাঝোকা করতে পারেন। কিন্তু এটিতে সুন্দর করে একটি স্টিক ম্যান আঁকতে হবে তবে এটির এডভান্স ফিচার উপভোগ করতে পারবেন। যদি ক্রিয়েটিভ সময় ব্যয় করতে চান তবে এই সাইট টি আপনার জন্য। মাউজ ধরবেন আর আঁকবেন। সর্বপরি এটা একটি দারুণ ওয়েবসাইট।
No 4) Fliptext
এই ওয়েবসাইট টি লোকেদের বিভ্রান্ত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। যদি আপনার কোন বন্ধুকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলতে চান তবে এই সাইট টি আপনার জন্য অনেক উপকার করবে। এই সাইটে প্রবেশ করলে দুটি বক্স পাবেন। উপরের বাক্সে সুন্দর মতো বন্ধু কে যা লিখবেন তা লিখে দিবেন দেখবেন নিচের বক্সে সেই লেখা উল্টো হয়ে গেছে। তো সেখান থেকে কপি করে বন্ধু দের শেয়ার করবেন দেখবেন বন্ধুর মাথা বিগড়ে গেছে।
No 3) Radiooooo
অনেকেই এই ওয়েবসাইট টির নাম দেখে ভাববেন এ কেমন সাইট রে বাবা?
আর আমি আপনাদের বলবো নামে কি আসে যায়, কাজই তো মেইন। আপনারা যারা রেডিও ভালোবাসেন বা, এক সময় শুনতেন তাদের কে আমি বলবো এটি একটি ইমেজিং ওয়েবসাইট যেটিতে পেয়ে যাবেন সেই ১৯০০ সাল থেকে আজ পর্যন্ত রেডিওতে যা যা হয়েছে তার সবকিছু। সাইটে প্রবেশ করে এক এক সাল সিলেক্ট করলেই রেডিও চালু হয়ে যাবে। আপনি এই সাইটে একাউন্ট ও খুলে নিতে পারেন। সর্বপরি যাদের রেডিওর প্রতি ইন্টারেস্ট আছে তাদের কাছে সত্যিই মজাই লাগবে।
No 2) Imagecolorizer.com
এই সাইটটি সকল সাইটের মতো মজার সাইট না এটি একটি খুবই কাজের সাইট। কেনও কাজের এই প্রশ্নের উত্তরে?
ধরুন আপনার এমন কোন ছবি রয়েছে যা ১০-১৫ বছর আগে তোলা। অর্থাৎ আমি বলতে চাইছি সাদা-কালো ছবি। বর্তমানে যে ছবিই তোলা হয় সবই রঙিন কিন্তু কিছু বছর আগে ছবি হতো সাদা-কালো। তো যদি আপনার কোন সাদাকালো ছবি থেকে থাকে তবে খুব সহজে সেই ছবিকে রঙিন করে নিতে পারেন। তো বন্ধুরা আপনার যদি সেই ছোট্ট বেলার কোন সাদা-কালো ছবি থেকে থাকে তবে সেই ছবিটা রঙিন করে ফেলুন। ১০০% নিশ্চিত এই ওয়েবসাইট টি আপনাকে নিরাশ করবে না।
No 1) Remove.bg
এই ওয়েবসাইট টি ও একটি অসাধারণ সাইট। যদিও আমি এটা সবসময়ই ব্যবহার করি। এমনকি এতোটাই বেশি আমার কাজে লাগে যে আমি ব্রাউজারের Bookmark এ সেভ করে রাখি । আপনি যদি কোন ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করতে চান তবে এই সাইট টি আপনার জন্য। একটা ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করতে ফটোশপ মিনিমাম ১০ মিনিট লেগে যাবে আবার মোবাইল দিয়ে তো সঠিকভাবে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ সম্ভবই না কিন্তু এই কাজটি মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে করে দিতে পারে এই ওয়েবসাইট টি। যারা মোবাইল ইউজার রয়েছেন তারা তো এই সাইটটি অবশ্যই ব্যাবহার করবেন এটা আমার রিকমেন্ড থাকলো।
সর্বশেষে আপনাদের একটা অবজেকশন থাকতে পারে, ভাই আপনি এই ওয়েবসাইট গুলো নিয়ে আলোচনা করলেন তবে সাইট গুলোর স্ক্রিনশট তো দিতে পারতেন। আমি জেনে বুঝেই স্ক্রিনশট দেই নি। যদি স্ক্রিনশট দিতাম তবে একজন বন্ধু ভুলেও এই সম্পুর্ণ কন্টেন্ট পড়তেন না। এতো কষ্ট করে পোষ্ট লিখলে যদি না পড়েন তবে তো আমার কষ্টই বৃথা সেটা তো বুঝতে পেরেছেন। দয়াকরে আপনারা নিজেরাই প্রত্যেক টি সাইটে ভিজিট করে দেখুন। আমি জাস্ট আপনাদের ধারনা দিলাম বাকিটা আপনারা নিজারাই বুঝে নিন লিংকে গিয়ে।
অবশেষে, আপনাদের আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই সম্পুর্ণ লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। যদি পোষ্ট টি ভালো লাগে তবে অবশ্যই জানাবেন।
ধন্যবাদ!!!
Post a Comment