অবশেষে মুখ খুললেন বিতর্কিত মন্ত্রী মুরাদ হাসান ইস্যুতে আলোচনায় আসা নায়িকা মাহিয়া মাহি।

সৌদি আরবে বসে ফেসবুক লাইভে কেদে কেদে জানালেন সেই রাতের আসল ঘটনা। তিনি বললেন আল্লাহ মুরাদের উচিৎ বিচার করেছেন এটাই তার প্রাপ্য ছিল। তবে কি মাহি একেবারে দুধে ধোয়া তুলসীপাতা তার কোন দোষ নেই এ বিষয়ে যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা ও সে রাতের বিস্তারিত বর্ণনা যা বলেছেন মাহি এসবের বিস্তারিত। 

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসান এর একটি ফোনালাপ সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়েছে যেখানে ফোনের ও প্রান্তে ছিলেন চিত্রনায়ক ইমন ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।

ফাঁস হওয়া ঐ কথোপকথনে তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মাহিকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তুলে আনার হুমকি দেন। পুরো বক্তব্যে অশ্রাব্য কিছু শব্দ উচ্চারিত হয়েছে বিষয়টি এখন টপ অব দ্যা কান্ট্রি। এই ঘটনায় তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

যাইহোক ঘটনায় ইমন কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি স্বীকার করেছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশিদ তিনি বলেন মুরাদ হাসান এবং মাহির ফোনালাপের সঙ্গে অভিনেতা ইমনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। মাহি এই মুহূর্তে ওমরার জন্য সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। তাই প্রাথমিকভাবে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ কারণে ইমনকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে ছিলাম। উনি ফোনালাপের এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিৎ করেছেন। 

প্রায় আধা ঘণ্টা ব্যাপী ইমনের সাথে ডিবি কর্মকর্তাদের কথা হয়। প্রাথমিকভাবে সত্যতা নিশ্চিৎ ব্যাতিত তার কাছ থেকে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। সে রাত সাড়ে দশটার দিকে ডিবি কার্যালয় ত্যাগ করেন।এবং ভবিষ্যতে মাহিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।

এরই মধ্যে ওমরা পালন করতে স্বামীর সঙ্গে বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থানরত মাহিয়া মাহি মুখ খুলেছেন। পবিত্র মক্কা হারাম শরীফ থেকে ফেসবুক লাইভে আসেন মাহি। লাইভে এসে তিনি বলেন আমি এখন পবিত্র হারাম শরীফে আছি এখানে ওমরা পালন করছি। আমি যেটা বলার জন্য ভিডিও টা করছি, সেদিন রাতে তার বিকৃত এবং কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার ও ভাষার প্রতি উত্তরে ভাষা আমার জানা ছিলনা। দুই বছর আগের ঘটনা তখন আমি শুধু আল্লাহর কাছে বলেছিলাম।

এবং ওই লাইভ ভিডিওর ক্যাপশনে মাহি লিখেছেন বিকৃত এবং কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার ও ভাষার প্রতি উত্তরের ভাষা আমার জানা ছিলনা নম্রতা আমার পারিবারিক শিক্ষা।

দুই মিনিট 30 সেকেন্ডের ঐ ভিডিওটিতে মাহি আরও বলেন আমি সেদিন খুব বিব্রত ছিলাম। নিজের আত্মসম্মান বোধে কতটুকু আঘাত লেগেছে তা শুধু আমি আর আমার আল্লাহ জানেন। 

আজকে আমি ভীষণভাবে বিব্রত। দেশবাসীর কাছে আমি কতটা ছোট হলাম কিন্তু আপনারা নিজ থেকে একটু চিন্তা করে দেখবেন এই ভাষা ও ব্যবহারের কি প্রতিউত্তর আমার দেওয়া উচিত ছিল। সেদিন আসলে আমার বলার কিছু ছিল না। তাই আমি চুপ থেকে পাশ কাটিয়ে গিয়েছি। 

কালো বোরকা ও কালো মাক্স পরা মাহি আরো বলেন। এটা ঠিক দুই বছর আগের একটি ঘটনা ছিল। আমি বরাবরের মতোই আল্লাহর কাছে বলেছি। আল্লাহ আমি কষ্ট পেয়েছি যার মাধ্যমে কষ্ট পেয়েছি কোন না কোন দিন সেই রেজাল্টটা তিনি পাবেন এবং তিনি পেয়েছেন এটা প্রমাণিত আলহামদুলিল্লাহ।

মাহি বলেন আমি সাংবাদিক ভাই দের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য লাইভে এসেছি। এ বিষয়টা নিয়ে আসলে এখানে কথা বলার মতো কিছু নেই। আপনারা আমার জায়গা থেকে আমার হয়ে চিন্তা করবেন যে আসলে আমি দোষী কি না।

আমি এতটুকুই বলব সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

মাহির জন্য দোয়া করি তাকে নিয়ে কোনরকম বাজে মন্তব্যের কোনো ইচ্ছে নেই। তার অতিতও টেনে আনার কোন প্রয়োজন নেই। তবে তার কিছু সমালোচনার সুযোগ তিনি করে দিয়েছেন।

যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় সোহাগ রাজ নীরব নামের একজন ফেসবুক লাইভটি দেখে বলেন। বলতে বাধ্য হচ্ছি চোখে আলাদা পাপড়ি লাগানো তা একটু খেয়াল করে দেখেন স্টাইল ঠিকই আছে আবার গেছে হজে। 

অন্য একজন মাহি কে উদ্দেশ্য করে বলেন, হারাম শরীফে বসে নিজের অপকর্মের অডিও ভিডিও দেখা লাইভ করা সব মানলাম কিন্তু চোখে আলাদা পাপড়ি লাগালেন কোন কারণে। এটা ছাড়া কি ওমরা হয়না।

তবে আমরা তার এই কাজ নিয়ে সমালোচনার পক্ষে নই। তার দুটি কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই মাহি লাইবের শেষের দিকে বলেছেন সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমাদের ওমরা কবুল করে নেন। এছাড়া বলেছেন আল্লাহ সাক্ষী আমার কোন দোষ ছিল না। আমি পরিস্থিতির শিকার ছিলাম। আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন, তিনি অত্যাধিক তওবা কবুলকারী, তিনি মাসদুমের ডাক শোনেন। আমরা আমাদের রবের প্রতি সর্বোচ্চ নেক ধারণা পোষণ করি তিনি চাইলে যে কাউকে হেদায়েত দান করতে পারেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post